শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বাল্টিক সাগরের কোপেনহেগেন উপকূলের জলসীমায় দু’টি পৃথক ব্যাগে তার এই মুণ্ডু ও দুই পা এবং জামা-কাপড় পাওয়া যায়।
৩০ বছর বয়সী কিম গত ১০ আগস্ট ডেনমার্কের উদ্ভাবক পিটার মেডসেনের সাক্ষাৎকার নিতে তার নিজের বানানো ৪০ টন ওজনের সাবমেরিনের ভেতরে যান।
১১ দিন পর ২১ আগস্ট বাল্টিক সাগরের কোপেনহেগেন উপকূলেই পাওয়া যায় কিমের দুই পা ও মুণ্ডুহীন মরদেহ।
শনিবার প্রায় একই এলাকার জলসীমা থেকে এই নারী সাংবাদিকের মুণ্ডু ও দুই পাওয়া পাওয়ার বিষয়ে কোপেনহেগেন পুলিশের পরিদর্শক জেন্স মোলার বলেন, কিমের মুণ্ডু ও দুই পা পাওয়া যায় একটি ব্যাগে, আর কাপড়-চোপড় পাওয়া যায় আরেকটি ব্যাগে।
পুলিশ পরিদর্শক বলেন, রাতেই কিমের মরদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে আমাদের চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে এই মরদেহ কিমেরই। তবে তার স্কালে কোনো ভাঙন ছিল না।
সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে ফিরে না আসায় কিমের প্রেমিকই বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনের নজরে আনেন।
এ বিষয়ে তখন ৪৬ বছর বয়সী মেডসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, সাক্ষাৎকার শেষে তিনি নিজে কিমকে নিরাপদে কোপেনহেগেনে পৌঁছে দিয়েছেন। পরে মেডসেন আবার দাবি করেন, কিম একটি দুর্ঘটনায় মারা যান, পরে তাকে ‘সাগরেই সমাহিত করেন’ তিনি।
পুলিশ ধারণা করছে, কিমকে হত্যার পর তার মরদেহ কেটে এভাবে টুকরো টুকরো করে প্যাকেটবন্দি করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের জোরদার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৭
এইচএ/