ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রাখাইনে শান্তির উদ্যোগ স্বাগত জানাবে আরসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৭
রাখাইনে শান্তির উদ্যোগ স্বাগত জানাবে আরসা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একদল সদস্য (ফাইল ফটো)

মিয়ানমারের রাখাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকার কোনো উদ্যোগ নিলে এগিয়ে আসবে সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। তাদের ঘোষিত মাসব্যাপী অস্ত্রবিরতি চুক্তি শেষ হওয়ার দু’দিন আগে এই অবস্থান জানালো সংগঠনটি।

শনিবার (৭ অক্টোবর) আরসার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও নিপীড়ন থামাতে বদ্ধপরিকর। তবে যদি সরকারের কোনো পর্যায় থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ দেখানো হয়, তবে আরসা এই আগ্রহ ও বিনিময়কে স্বাগত জানাবে।

রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর কারণ হিসেবে দাবি করা হয়, সেখানে ২৪ আগস্ট রাতে প্রশাসনিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় জড়িত রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসা। আর আরসা নিজেদের দাবি করে, রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠন হিসেবে।

সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও লাখ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হতে শুরু করলে রাখাইনে জরুরি ত্রাণ সরবরাহের সুবিধার্থে আরসা ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এক মাসের অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু তাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে নাইপিদো সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সমঝোতার নীতি মিয়ানমারের নেই।

৯ অক্টোবর রাতে এই অস্ত্রবিরতির মেয়াদ শেষ হলে আরসা কী পদক্ষেপ নেবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি শনিবারের বিবৃতিতে।

এক রোহিঙ্গা শিশুকে পানি খাওয়াচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক সদস্য।  ছবি: উজ্জ্বল ধর
তাদের নতুন এই শান্তি প্রক্রিয়ায় আগ্রহ নিয়েও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য মেলেনি মিয়ানমার সরকারের।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২৪ আগস্টের ওই হামলার অজুহাতে ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে পুরোপুরি রোহিঙ্গা-শুদ্ধি অভিযান শুরু করে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। অত্যাচার-নিপীড়ন করে দেশান্তরী হতে বাধ্য করা হয়েছে অর্ধ মিলিয়ন বা পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে।

জাতিসংঘ এই অভিযানকে উল্লেখ করেছে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ হিসেবে। আরসা এই অভিযানের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করে বলে আসছে, তারা রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নির্মূলে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের মতো নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৭
এইচএ/

** মিয়ানমারকে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে বললো ইইউ-ভারত
** রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে: ইইউ প্রেসিডেন্ট
** পক্ষ হতে চান রোহিঙ্গারা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।