সেই গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়েই জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে থাকেন। শুরু হয় তুমুল হর্ষধ্বনি।
যে মাটি, যে বাতাসে যে মানুষের সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন সেই মাটি-বাতাস-মানুষের মাঝে ফিরতে পেরে আবেগ ছুঁয়ে গেল মোদিকেও। জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে পরে আয়োজিত জনসভায় সেই আবেগের কথাই বললেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, ‘আমি আজ যেখানে রয়েছি এই মাটির গুণেই’। রোববার (৮ অক্টোবর) গুজরাটের বড়নগর সফরে গেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই ফুল হাতে রাস্তার দু’ধারে অপেক্ষায় দাঁড়ান হাজারো মানুষ। একটি বার মোদিকে সামনে থেকে দেখার আশা। ‘ছেলে’ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যে এবারই প্রথম এলেন তাদের মাঝে।
জনতা মোদির পথ সাজানোর পাশাপাশি সাজায় তার কৈশোরের সেই চায়ের স্টলকেও। বড়নগর রেলওয়ে স্টেশনের যে স্টেশনে বাবার সঙ্গে চা বেচতেন মোদি। কেবল চায়ের স্টলই নয়, গোটা স্টেশনকেই সাজানো হয় ফুলে ফুলে। এই ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত প্রধানমন্ত্রী বড়নগরে আয়োজিত জনসভায় বলেন, বড়নগরের মাটি-হাওয়া আজ আমাকে এই সম্মানের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।
বড়নগরের যে স্কুল থেকে মোদি প্রথম তার অক্ষরজ্ঞান শেখেন, ছুটে যান সেখানেও। কালো অভিজাত এসইউভি গাড়ির দরজা খুলে নেমে আকস্মিক এলিট নিরাপত্তারক্ষীদের আগেই চলে যান শৈশবের অজস্র স্মৃতিবিজড়িত স্কুলের সামনে। স্মৃতির আয়নায় যখন অজস্র মুখ-হাসি-উল্লাস ভাসছিল, মোদি নিচু হয়ে তখন মাথা ছোঁয়ান মাটিতে। এসময়ও চারদিক থেকে রব উঠছিল, ‘মোদি, মোদি!’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
এইচএ/