অথচ বালুখোলা এলাকায় গত দু’সপ্তাহেই অন্তত ২ জন শিশু নিহত হয়েছে চিতাবাঘের আক্রমণে। গত ৫ বছরে এভাবে চিতার আক্রমণে এখানে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় এক ডজন শিশু।
যদিও খুনি চিতাকে ধরতে জেলা কমিটি প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ টিম মোতায়েন করেছে বনে। কিন্তু ভালোই ভেলকি দেখাচ্ছে চালাক চিতা।
প্রকৃতি সংরক্ষণ জাতীয় টাস্ক ফোর্সের শ্যুটার হারকামান লামা বলেন, হিমালয়ের এবড়ো থেবড়ো ভূমি চিতা খোঁজার কাজ কঠিন করে তুলেছে। গত ৬ দিন ধরে বনে আমরা চিতা খুঁজছি।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা চিতাগুলোকে ধরে খাঁচায় ভরে ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ফন্দি এঁটেছেন। তবে ওয়াইল্ডলাইফ টেকনিশিয়ান প্রকাশ চৌধুরী বলেছেন, ধরতে ব্যর্থ হলে খুনি চিতাকে গুলি করে মেরেই ফেলতে হবে আমাদের।
স্থানীয়রা বলছেন, তারা লোকালয়েও একাকি হাঁটতে ভয় পাচ্ছেন। শিশুরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাম্মান কেসি নামে বালুখোলা এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের ক্ষেতে কৃষিকাজ করাও লাটে উঠেছে চিতার ভয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
জেডএম