বিশ্বের ২০০টি দেশের উপর পরিচালিত এক গবেষণার এ সংক্রান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী চিকিৎসা সাময়িকি ‘দ্য ল্যানচেট’।
যাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী প্রতি ১০ জনের একজন স্থুল।
আর এই স্থূলতার পেছনে চিপসের সহজলভ্যতা ও ব্যাপক প্রচারণা, অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবারকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
১১ অক্টোবর ‘বিশ্ব স্থূলতা দিবস’ উপলক্ষে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের পর প্রতিবছর বিশ্বে স্থূলতার কারণে সৃষ্ট রোগে চিকিৎসা ব্যয়ের পরিমাণ হবে ৯২ হাজার কোটি পাউন্ড।
যদিও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ইউরোপের অনেক উচ্চ-আয়ের দেশে স্থূলতার হার অনেকটা স্থির পর্যায়ে রয়েছে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ সংখ্যা ‘উদ্বেগজনক’ হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষক প্রফেসার মাজিদ ইজ্জাতি।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পূর্ব এশিয়ায় স্থূল শিশু-কিশোরের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে চীন ও ভারতে।
আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পলিনেশিয়া এবং মাইক্রোনেশিয়ায় এ হার সবচেয়ে বেশি, এখানকার প্রায় অর্ধেকের বেশি জনগণ অতিরিক্ত ওজনের বা স্থূল।
এদিকে গবেষকরা সর্তক করে বলেছেন, বিশ্বের এ ‘ স্থূলতার ধারা’ অব্যাহত থাকলে আসছে দিনে ‘স্থূলতা’ হবে স্বাভাবিক বিষয়, ‘কমওজন’ নয়।
স্থূলতার বিষয়ে লন্ডন স্কুলের হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সহ-গবেষক ড. হ্যারি রুটার বলেছেন, এ সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। দশ বছর আগেও যারা চিকন ও শুকনা ছিলেন তারাও এখন শরীরে অতিরিক্ত ওজন বহন করছেন।
অন্যদিকে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালরি ও নিম্নমানের খাবারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ড. ফিওনা বুল। একইসঙ্গে তারা শারিরীক পরিশ্রমের উপরও জোর দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৭
জেডএস