সহিংসতার মুখে রাখাইন থেকে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের তৈরি করা প্রতিবেদনে এ পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের জেনেভা দফতর থেকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিশ্ব সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে শারীরিক, আবেগী ও মনস্তাত্ত্বিক ভয় ও মানসিক আঘাত গভীর ও বিস্তৃতভাবে গেঁথে দিতেই নৃশংসতার এমন কৌশল নেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
রাখাইনে এখনও সহিংসতা চলছে জানিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেখানে আটকে পড়া হাজারো রোহিঙ্গার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে জাতিসংঘ গভীর উদ্বিগ্ন।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রজ্ঞাকে পুরোপুরি নিঃশেষ করে দিতে তাদের শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বসহ অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকে ‘টার্গেট’ করেছে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে সহিংসতার মুখে সেখান থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে ৫ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
তবে রাখাইনে অভিযানকে জাতিসংঘ আগে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বললেও সেখানে কতোজনকে হত্যা করা হয়েছে, এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ভাষ্যমতে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে। ধর্ষণ করেছে শত শত রোহিঙ্গা কিশোরী-তরুণী ও গৃহবধূকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৭
এইচএ/