তবে ডিম এবার ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করবে। কিন্তু তা মুরগির ডিম নয়।
এমনই অবাক করা তথ্য দিয়েছেন জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স ইনডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এআইএসটি) গবেষকরা।
ওষুধ দিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কিছু মুরগির শুক্রাণু জিনগতভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। গবেষকদের দাবি, এসব মুরগির সঙ্গে সংমিশ্রণ ঘটিয়ে যে নতুন শঙ্কর প্রজাতির মুরগি তৈরি করা হয়েছে, তার ডিম ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। আর জিনের এই পরিবর্তন করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন ইন্টারফেরনস নামে দুর্মূল্য ওষুধ। ক্যান্সার, হেপাটাইটিস, স্কেলারোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত রোগীদের এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। আর এই ওষুধ এতোটাই দুর্মূল্য যে, মাত্র কয়েক মাইক্রোগ্রামের দাম ৮৮৮ ডলার।
অর্থাৎ পরোক্ষভাবে এটির মিশ্রণের যে ডিম মানুষজন পাবেন তার দাম সাধ্যের মধ্যে হবে, তা বলা যাচ্ছে না।
এই ধরনের মুরগি প্রতিদিনই ডিম পাড়বে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে রয়েছে গবেষণা। যদি গবেষণা সফল হয় তবে সোনার ডিমের আশা ছেড়ে ক্যান্সার প্রতিরোধক ডিম পেতে একটা মুরগি কিনে ফেললেই হয়!
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
আইএ