শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের কার্যালয় এক বার্তায় এ খবর দিয়েছে।
কমান্ডার ইন চিফের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে দেওয়া ওই বার্তায় বলা হয়, এই কমিটি রাখাইনে গিয়ে জানতে চাইবে যে সেখানে সেনাবাহিনীর আচরণবিধি অনুসরণ করা হয়েছিল কি-না।
২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দফায় দফায় রাখাইনে অভিযান চললেও আগস্টে এই অভিযান বর্বরোচিত রূপ নেয়। ২৫ আগস্ট থেকে ওই অভিযানের জেরে সোয়া ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। সেখানে গণহত্যার শিকার হয়েছে ৫ হাজার নিরীহ রোহিঙ্গা। ধর্ষণের শিকার হয়েছে সম্প্রদায়টির শত শত কিশোরী, তরুণী ও গৃহবধূ।
শুরু থেকেই সেখানে জাতিসংঘ পরিদর্শক দল যেতে চাইলেও তাদের অনুমতি দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে বিবেচনার কথা বলেছে তারা। এরমধ্যেই খোদ অভিযুক্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরুর কথা জানালো।
চলতি বছরের শুরুর দিকে রাখাইনে নৃশংসতার ঘটনায়ও এই লেফটেন্যান্ট জেনারেল আই উইনের নেতৃত্বেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমান্ডার ইন চিফের আস্থাভাজন এই সেনা কর্মকর্তার কমিটি তখন তদন্ত শেষে জানায়, একটি মোটরসাইকেল চুরি ও অগ্নিনির্বাপণে অসহযোগিতার কারণে গ্রামের বাসিন্দাকে পেটানোর দু’টি ঘটনা ছাড়া আর কিছুই ঘটেনি।
সে বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে, এবারও এমন নির্লজ্জ ও নির্মম উপহাসমূলক প্রতিবেদনই দেবে অভিযুক্ত সেনাবাহিনী। তার আভাস অবশ্য গত বৃহস্পতিবারই (১২ অক্টোবর) দিয়েছেন কমান্ডার ইন চিফ হ্লাইং। তার দাবি, রাখাইনের রোহিঙ্গারা অবৈধ বাঙালি। সেখানে অভিযান সম্পর্কে যা প্রচার হচ্ছে, তা অতিরঞ্জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
এইচএ/