শুক্রবার (অক্টোবর ১৩) বিচারপতি রণজিৎ মোর এর নেতৃত্বাধীন একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আবেদন খারিজ করে দেন।
এর আগে আদালতে ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার ওপর প্রতিবেদন পেশ করে একটি চিকিৎসক প্যানেল।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, গর্ভধারণের এই পর্যায়ে গর্ভপাত করা হলে ওই কিশোরীর শারীরিক পরিস্থিতি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। গত বৃহস্পতিবার ৮ সদস্যের ওই চিকিৎসক প্যানেল ধর্ষিতা কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
তবে ধর্ষিতা কিশোরীর পিতা আদালতে দাবি করেন, এই অবস্থায় গর্ভধারণ করলেই বরং তার কন্যার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে।
তার মেয়ে বর্তমানে অ্যানিমিয়া রোগে ভুগছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবস্থায় সন্তানের জন্ম প্রদান এবং ধর্ষণের ফলে জন্ম হওয়া সন্তান পালন করলে তার কন্যার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে।
নাবালিকা অবস্থায় গর্ভধারণে বাধ্য করা ওই কিশোরীর সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন বলেও আদালতে উল্লেখ করেন তার আইনজীবী।
তবে হাইকোর্টের বিচারকরা জানান, তারা আইনের বাইরে যেতে পারবেন না। কারণ ভারতীয় আইন অনুযায়ী স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি না থাকলে গর্ভধারণের ২০তম সপ্তাহের পর আর গর্ভপাত করা যাবে না। তারা চিকিৎসক প্যানেলের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, বর্তমানে গর্ভধারণে কোনো শারীরিক ঝুঁকি নেই ওই কিশোরীর। বরং এই মুহূর্তে গর্ভপাত করলেই বরং ঝুঁকি বেশি।
উল্লেখ্য, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় এক তরুণ ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। গত আগস্ট মাসে এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে ধর্ষণের অভিযোগ করে তার পিতা। পরবর্তীতে শারীরিক পরীক্ষায় তার গর্ভধারণের বিষয়টি প্রকাশ পায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
আরআই