শনিবার (১৪ অক্টোবর) মোগাদিসুর একটি অভিজাত হোটেলের প্রবেশপথে প্রথমটি এবং মেদিনা এলাকায় অপর বোমা হামলাটি চালানো হয়। রোববার (১৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে প্রাথমিকভাবে ২০-২৫ জন নিহত হওয়ার খবর জানা গেলেও দুপুর নাগাদ ১৮৯ জনের মৃত্যুর খবর আসে।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, সরকারি বিভিন্ন ভবন সংলগ্ন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে সাফারি হোটেলের প্রবেশপথে প্রথমে একটি লরিতে ভরে আনা বোমার বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। এতে হোটেলটির একাংশ ধসে পড়ে। ধসে যায় পাশের কয়েকটি ভবনও। আগুন ধরে যায় আশপাশের গাড়িগুলোতে। পুরো রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে বিধ্বস্ত ভবন ও গাড়ির খণ্ডাংশ। এরপর চার বন্দুকধারীর প্রবেশপথ দিয়ে ভেতরে ঢুকতে চাইলে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিবিনিময় শুরু হয়। বেশ কিছু সময় ধরে চলে মুহুর্মূহু গুলিবিনিময়। এসময় ঘটনাস্থলেই বেশ কিছু লোক নিহত হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যায় আরও কিছু লোক।
হামলার পর পুরো রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে বিধ্বস্ত ভবন ও গাড়ির খণ্ডাংশ। এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় মরদেহ। আহতদের রোনাজারিতে পুরো মোগাদিসুর আকাশ ভারী হয়ে ওঠে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বোমা-গুলিতে যেমন মানুষ মরেছে, তেমনি ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়েও মৃত্যু হয়েছে অনেকের।
সাফারি হোটেলে হামলার দু’ঘণ্টা পর রাজধানীর উপকণ্ঠের মেদিনা এলাকায় আরেকটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে মারা যায় আরও বেশ কিছু লোক।
দু’টো ঘটনা মিলিয়ে রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত ১৮৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল্লাহি মোহামেদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর আফ্রিকা কমান্ডের প্রধান সাক্ষাৎ করে যাওয়ার দু’দিন পর এই দু’টি হামলা হলো।
কারা এই হামলা চালিয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানা না গেলেও প্রায়ই মোগাদিসুতে হামলা চালিয়ে থাকে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট আল-শাবাব গোষ্ঠীটি। তারা দীর্ঘদিন ধরে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এইচএ/
** সোমালিয়ায় বোমা হামলায় নিহত ৫৩