রোববার (১৫ অক্টোবর) আমেরিকান একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন টিলারসন। এতে তিনি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা ও কূটনীতি— সব পর্যায়ে নজিরবিহীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজিরবিহীন ঐক্য দেখা গেছে।
এ মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সময় নষ্ট না করতে টিলারসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নিজের শক্তি বাঁচাও রেক্স। আমাদের যা করার দরকার, তা-ই করবো। ’
সেই উস্কানিমূলক মন্তব্যকে চেপে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কূটনৈতিক উপায়েই সংকটের সমাধান চাই। এমনকি প্রথম বোমাটি নিক্ষিপ্ত না হওয়া পর্যন্তও এই কূটনেতিক আলোচনা চলবে।
তার এই বক্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আঞ্চলিক মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিলে ওই এলাকায় যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ডেস্ট্রয়ার নিয়ে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে।
ওয়াশিংটন-সিউল এই মহড়াকে ‘নিয়মিত’ বললেও বরাবরই এ ধরনের তৎপরতার নিন্দা জানিয়ে পিয়ংইয়ং বলে আসছে, ‘এসব কিছু যুদ্ধের মহড়া। ’
গত জুলাইয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদফতর পেন্টাগনে এক সভায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নির্বোধের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কি-না, এমন প্রশ্নে টিলারসন বলেন, এই তুচ্ছ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।
যদিও টিলারসনের এই মন্তব্যের খবর ছড়ানোয় তাকে ‘আইকিউ’ টেস্টের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ট্রাম্প। পরে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে প্রেসিডেন্টের ‘কৌতুক’ বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
এইচএ/