চলতি মাসের ১ তারিখ প্রথম জলহস্তীর মৃত্যুর খবর জানান পার্কের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা দেশটির জলবায়ু ও পর্যটক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জনসন নোকোশো। এরপর দুই সপ্তাহ না পেরুতেই এতে জলহস্তীর মৃত্যুর সংখ্যা ১০৯ এ দাঁড়িয়েছে।
নামিবিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী পোহামবা সিফিতা জানিয়েছেন, এরইমধ্যে শতাধিক জলহস্তীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উদঘাটন সম্ভব না হলেও সংগৃহীত আলামতে তা অ্যানথ্রাক্স বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘জলহস্তীর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে আমাদের পশু চিকিৎসক দল সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ খুঁজে পেলে দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।
এদিকে সঙ্গীর মৃত্যুতে পার্কের অন্য জলহস্তী ও প্রাণীদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা গেছে। অনেক প্রাণী মৃত জলহস্তীগুলোর পাশে শুয়ে সহমর্মিতা জানাচ্ছে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফির নোকোশো বলেছেন, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে প্রাণীগুলোর মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি, যদিও বিষয়টি নিশ্চিতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মৃত প্রাণীর রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, যদিও গৃহীত পদক্ষেপ রোগ চিহ্নিতে যথেষ্ট নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একইসঙ্গে রোগটি যেনো আর বিস্তার লাভ না করে সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
জেডএস