দেশটির সরকারের দাবি বা অনুরোধের ভিত্তিতে ডব্লিউএফপি প্রতিবেদনটি তুলে নিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
চলতি বছরের জুলাইয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় ডব্লিউএফপি তুলে আনে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৮০ হাজারেরও বেশি শিশু তীব্র খাদ্যাভাবের মধ্য দিয়ে ওজন হারাচ্ছে।
পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তৈরি গবেষণা প্রতিবেদনটি ছয় পৃষ্ঠার। তবে তা সরিয়ে ফেলা হলো। যার একটি সংশোধিত অংশ নতুন করে আসবে, এতে মিয়ানমার সরকার ও জাতিসংঘের এই সংস্থা একত্রে কাজ করছে।
রাখাইনে মুসলিমরা দীর্ঘদিন ধরেই নির্যাতনের শিকার। তারা পেতেন না কোনো সুযোগ-সুবিধা। সহিংসতার আগে তারা অতি কষ্টে জীবন-যাপন করতেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জাতিসংঘ থেকে বলা হয়েছে, পাঁচ লাখ ৮২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা গত ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও লাখ খানেক বেশি। এছাড়া আগে থেকেই চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে থাকেন। সর্বমোট ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট। ওই তারিখের দিনগত রাতে রাখাইনে পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
আইএ