চীনের ঊর্ধ্বগতির অর্থনীতিতে এই গভীর সমুদ্রবন্দর আরও গতি এনে দেবে। অপেক্ষাকৃত কম এগোনো চীনের পশ্চিম অংশকে নতুন শক্তি জোগাবে।
মিয়ানমারের এক সরকারি কর্মকর্তা ওও মাং বলেছেন, পশ্চিম রাখাইনে অন্তত সাত দশমিক দু্ই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে। যা একটি বিশাল কাজ। এই কাজের দায়িত্বে চীনের সিআইটিআইসি গ্রুপ করপোরেশন লিমিটেড। সেপ্টেম্বরেই তাদের সঙ্গে কাজের অনুমোদন হয়েছে।
নতুন করে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ছয় লাখের বেশি
রাখাইনে রোহিঙ্গা শিশুর দুরবস্থার প্রতিবেদন প্রত্যাহার
চীনের কাছে সমুদ্রবন্দরের শেয়ার বেচলো শ্রীলঙ্কা
অনুমোদন অনুযায়ী ৮৫/১৫ শতাংশ ভিত্তিতে অংশীদারিত্ব ভাগ হয়। তবে এটি অনেক বেশি হয়ে যায় বলে মিয়ানমার মনে করছে। ফলে নতুন করে তা তৈরিতে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিওর কাছে চিঠি গেছে। তিনি চূড়ান্ত করে দিলেই নতুনভাবে কাজ শুরু হবে। সে অনুযায়ী ৭০/৩০ শতাংশ অনুপাতে ভাগ হতে পারে গভীর সমুদ্রবন্দরের শেয়ার। সমুদ্রবন্দরটি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত, একটি বন্দর অন্যটি অর্থনৈতিক অঞ্চল।
এদিকে রাখাইন রাজ্য থেকে সেখানকারী স্থায়ী বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদের মূলে রয়েছে চীনের বাণিজ্য বিস্তারের পরিকল্পনা। ভারতও এই সারিতে বলে বিশ্লেষকদের মত। ভারতের লক্ষ্য রাখাইনে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে। বন্দর ছাড়াও রাজ্যের ওপর দিয়ে চীন কুনমিং পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার গ্যাস ও পাইপলাইন স্থাপন করেছে।
পরিসংখ্যান বলছে, বিগত বছরগুলোতে মিয়ানমারে চীনের বিনিয়োগের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। পশ্চিমা দেশগুলোর বিনিয়োগ মিলিয়ে এর ধারের কাছেও নেই।
বাণিজ্যের তাড়নায় মানবতা বিকিয়ে দেওয়া মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা, গণধর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এর শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ছয় লাখের কাছাকাছি।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট। ওই তারিখের দিনগত রাতে রাখাইনে পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
আইএ