বুধবার (১৮ অক্টোবর) ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশটির প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
জিনপিং বলেন, চীনাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সমাজবাদী নেতৃত্বে দেশের দ্রুতগতির অভূতপূর্ব উন্নয়ন অন্য দেশগুলোর সামনে (সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে) নতুন বিকল্প এনেছে।
তার এই বক্তব্য মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ঘেঁষে উন্নয়নশীল দেশগুলোর যোগাযোগের দিকেই ইঙ্গিত করে দেওয়া।
রুদ্ধদ্বার সম্মেলনে চীনের আগামীর নেতৃত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আগামী মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) শেষ হচ্ছে কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান মেয়াদ। সম্মেলন শেষেই ক্ষমতাসীনরা দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারক পরিষদ পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির মহাসচিব বা প্রধান ও সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে।
২০১৩ সালের মার্চ থেকে রাষ্ট্রপ্রধান পদে দায়িত্ব পালন করে আসা জিনপিং দলের পরবর্তী ৫ বছরের মেয়াদেও মহাসচিব পদ বা নেতৃত্বে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হিসেবে আরও এক দফায় তার নেতৃত্বে চলতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনগোষ্ঠীর দেশটি।
২ হাজার ডেলিগেটের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিন ঘণ্টার ভাষণে জিনপিং চীনের সাম্প্রতিক অর্জন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চীনাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সমাজবাদী নেতৃত্বে দেশের দ্রুতগতির অভূতপূর্ব উন্নয়নে আমাদের দেশ নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। চীন বিশ্বের বড় শক্তিতে পরিণত হয়েছে। মানবসভ্যতার ইতিহাসে চীন বরাবরের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শি জিনপিং বলেন, কমিউনিস্ট নেতৃত্বে চীনের প্রবৃদ্ধির মডেল দিনে দিনে উজ্জ্বল হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে এখন (কথা বলা ও সাহায্য চাওয়ার জন্য) নতুন বিকল্প এসেছে। আমাদের উচিত এখন বিশ্বমঞ্চে কেন্দ্রীয় আসন নেওয়া এবং মানবসভ্যতায় আরও বড় অবদান রাখা।
কমিউনিস্ট শাসন যত দীর্ঘতর হয়েছে, চীনে ততই কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে পশ্চিমাদের অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্লেষকদের চোখে শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর চীন আরও কর্তৃত্ববাদী হয়েছে, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের ওপর নেমে এসেছে খড়গ।
অতীত পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় তারা বলছেন, জিনপিং পরবর্তী পাঁচ বছরও ক্ষমতায় থাকলে চীনের বিরুদ্ধে বিগত অভিযোগগুলোরই পুনরাবৃত্তি হবে আরও জোরেশোরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এইচএ/