শুক্রবার (২০ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৫ সালের হিসেবে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
তথ্য বলছে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশেই দূষণের মাত্র তুলনামূলক বেশি। বায়ু দূষণ যার অন্যতম। বাংলাদেশকে দূষণে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় শীর্ষে রাখা হয়েছে। এরপরে আছে সোমালিয়া। এই দেশগুলোতে অতিরিক্ত হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ফুসফুসের ক্যান্সারে মানুষজনের মৃত্যু হার বেড়েছে।
বাংলাদেশ-সোমালিয়ার পর চাদ, নাইজেরিয়া, ভারত, নেপাল, দক্ষিণ সুদান রয়েছে। এছাড়া দশম স্থানে পাকিস্তান। এছাড়া চীনেও দূষণ দিন দিন বাড়ছে।
কম দূষণের মধ্যে রয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ইসলামী রাষ্ট্র ব্রুনাই। এরপরে ইউরোপ মহাদেশের সুইডেন; তৃতীয় ফিনল্যান্ড। ১৮৮টি দেশ নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
নিউইয়র্কের প্রখ্যাত চিকিৎসক প্রফেসর ফিলিপ ল্যান্ডরিগান বলেছেন, এই দূষণ আরও বেশি হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে।
বাংলাদেশে শিল্প বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য, প্রাণিজ এবং অন্যান্য বর্জ্যসহ বিভিন্ন রাসায়নিক বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ু, পানি ও শব্দ দূষণ যেন বর্তমানে স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্র্যের ওপর। জলবায়ুর প্রতিকূল প্রভাবও পরিবেশের ওপর পড়ছে। মূলত সার্বিকভাবে গত এক যুগে দূষণ ও পরিবেশের বিচারে বাংলাদেশ পিছিয়েছে।
তবে কেবল কম উন্নত নয়; উন্নত দেশগুলোতেও দিন দিন দূষণ বাড়ছে। এ থেকে যুক্তরাজ্যও রেহাই পায়নি। হিসেব বলছে, দূষণে অন্তত ৫০ হাজার (আট শতাংশ) মানুষের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
আইএ