এজন্য ওয়াশিংটন কূটনীতি এবং নিষেধাজ্ঞাকে প্রাধান্য দিয়ে এলেও সামরিক বাহিনীও বিকল্প হিসেবে রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ওয়াশিংটনভিত্তিক জাতীয়তাবাদী থিংক ট্যাংক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিসের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন পোম্পেও।
উত্তর কোরিয়া অবশ্য অনেক আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করে আসছিল। কিন্তু এতোদিন ধরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কিছু বলছিল না। পিয়ংইয়ংয়ের সাম্প্রতিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে এবার সিআইএ প্রধান নিজেই আশঙ্কার কথা বললেন।
পোম্পেও বলেন, উত্তর কোরিয়া এখন (যুক্তরাষ্ট্রে) তাদের পরমাণু বোমা হামলার সক্ষমতা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে। আমাদের উচিত তাদের এই সফলতা অর্জনের আগেই নিজেদের কর্তব্য পালন করা।
সিআইএ প্রধান বলেন, একদিকে চিন্তা করলে তারা চূড়ান্ত পর্যায়ের দূরেই আছে, সুতরাং এখন চিন্তা করতে হবে কিভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে থামিয়ে দেওয়া যায় তাদের।
পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা পিয়ংইয়ংয়ের বিশেষজ্ঞরা অনেক দ্রুতই করছেন জানিয়ে পোম্পেও বলেন, তাদের ত্বরিত কার্যক্রমের কারণে এটা বোঝা কঠিন যে কখন উত্তর কোরিয়া সফল হয়ে যাবে।
পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিরোধের অবসান কূটনেতিক উপায়েই করতে চাইছেন। যদিও তার আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পররাষ্ট্র দফতরকে বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে আলেচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়ে সময় নষ্ট করার মানে হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
এইচএ/