শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। সেখানে কথা বলেন ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র দুনিয়া আসলাম খান।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে আটকা পড়া হাজারো রোহিঙ্গার মধ্যে ৬ হাজার ৮০০ জন বৃহস্পতিবার রাতে আঞ্জুমানপাড়া দিয়ে কক্সবাজারে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিজিবি সদস্যরা। আরও অসংখ্য রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের প্রহর গুনছেন।
সীমান্ত এলাকায় অবস্থানরত এবং বাংলাদেশে প্রবেশ করা এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে ইউএনএইচসিআর ও তার অংশীদার অন্য সংস্থাগুলো জরুরি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
নতুন করে আসা শরণার্থীদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ইউএনএইচসিআর কাজ করছে জানিয়ে আসলাম খান বলেন, শরণার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে আরও বেশি করে টিউবওয়েল ও টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে।
সংকট মোকাবেলার যৌথ পরিকল্পনা অনুযায়ী জীবনরক্ষাকারী সহায়তা দিতে ৪৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন জানিয়ে ইউএনএইচসিআর মুখপাত্র আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ২৩ অক্টোবর জেনেভায় অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে আরও বেশি সহায়তা পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করি।
গত ১৭ অক্টোবর এই ইউএনএইচসিআরই জানিয়েছিল, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। তবে অন্যান্য বিভিন্ন সংস্থার হিসাব মতে এ সংখ্যা আরও বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
এইচএ/