স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শনিবার (২১ অক্টোবর) বলছে, এ অভিযোগে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার বিহার প্রদেশের নালন্দা জেলার নুরসরাই এলাকার আজাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে গিয়েছিলেন ৫৪ বছর বয়সী মহেশ ঠাকুর নামে এলাকারই এক নরসুন্দর। কড়া না নেড়ে খোলা দরজা পেয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি। আর এটাই তার মস্ত বড় অপরাধ!
ওই সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ ছিলেন না, তবে বাড়ির নারীরা সবাই ছিলেন। ফিরে আসার পর ঘটনাটি জেনে প্রচণ্ড রেগে যান পঞ্চায়েত প্রধান দয়ানন্দ মাঝি।
তড়িঘড়ি ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় সালিশি সভা ডাকলেন তিনি। ডেকে পাঠানো হয় মহেশকেও। উপস্থিত ছিলেন ওই বাড়িসহ গ্রামের নারী-পুরষ।
পুরুষ মানুষ বাড়িতে না থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে ঢোকার ‘অপরাধে’ প্রথমে নরসুন্দর মহেশকে জুতাপেটা করলেন নারীরা।
এরপরও খায়েশ মেটেনি পঞ্চায়েত প্রধানের। মহেশকে মাটিতে থুতু ফেলতে বলেন তিনি। পরে সেই থুথু জিহ্বা দিয়ে চাটতে বাধ্য করা হয় তাকে।
সংবাদমাধ্যমকে মহেশ জানান, তিনি তামাক আনতে ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। সে সময় বাড়িতে যে কোনো পুরুষ ছিলেন না সেটা জানতেন না তিনি।
এদিকে সালিশের ঘটনাটি ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। রাজ্যের এ জেলাতেই জন্ম বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের। তাই তার রাজ্যে এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনায় তাকেও জড়িয়ে মন্তব্য করছেন অনেকে।
খবর পেয়ে নালন্দা জেলা শাসক থিয়াগারাজন এস এম ও পুলিশ সুপার সুধীর কুমার পরিকা অভিযুক্ত আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছে এসপি পরিকা।
এদিকে এ ঘটনা শুনে বিহারের মন্ত্রী নন্দকিশোর যাদব বলেন, এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এমএ/