সংস্থাটি বলছে, এখনও আসা থেমে নেই। রাতের অন্ধকারে মানুষজন পালিয়ে আসছেন; এতে প্রতিদিনই রোহিঙ্গা শিবিরে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন মুখ।
মূলত বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও বেশি। তা সাড়ে ছয় লাখের কাছাকাছি। এছাড়া আগে থেকেই বাংলাদেশে থাকেন চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য আগামী ছয় মাসে আরও অন্তত ৪৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (আনুমানিক ৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার) প্রয়োজন বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি কক্সবাজার ঘুরে যাওয়া আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আওএম) মহাপরিচালক উইলিয়াম লেসি সুইং বলেছেন, সারাবিশ্বে যে কটি মানবিক সংকট এখন চলছে তার মধ্যে সব থেকে গুরুতর সমস্যা হচ্ছে রোহিঙ্গা সমস্যা। এর সমাধান হতে হবে রাজনৈতিকভাবে। ছয় মাসের জন্য সংকট মোকাবেলায় অর্থের জোগান যাই হোক না কেন, সংকট দীর্ঘমেয়াদী।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘ জাতিগত নিধন বলেছে। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের এক লেখায় একে গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে রাখাইনে যা চলছে তাকে গণহত্যা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। তারা আরও বলছে, যা অস্বীকার করতে পারবে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট। ওই তারিখের দিনগত রাতে রাখাইনে পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
আইএ