মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে দেওয়া এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে মুখপাত্র হেথার নোয়ার্ট বলেন, ‘জেএডিই অ্যাক্ট ট্রাভেল’র আওতায় মিয়ানমারের বর্তমান ও সাবেক সামরিক নেতারা যে ভ্রমণ সুবিধা পেতেন, তা আর থাকছে না। এছাড়াও রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে দেশটির উপর আরো কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায় কিনা সেটিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশটির রাখাইনে রোহিঙ্গাসহ অন্য সম্প্রদায়ের উপর যে মারাত্মক অপব্যবহার ও নির্যাতন চালানো হয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র বেশ উদ্বিগ্ন।
আর এসব ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে বলেও বিবৃতিতে বলেন হেথার নোয়ার্ট।
গণতন্ত্রের পথে নতুন করে হাঁটার পর এই প্রথম কোনো নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে মিয়ানমার।
বিবৃতিতে হেথার নোয়ার্ট আরো বলেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির কোনো সামরিক ইউনিট বা কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তিনি বা তারা মার্কিন সহায়তা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে অযোগ্য হবেন। এছাড়া মার্কিন সহযোগিতা রয়েছে এমন কোনো ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সব আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমার থেকে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করে বলে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি উন্নতি না হয় তবে মিয়ানমারের বিষয়ে নতুন করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
জেডএস