দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বিবিসির পরিচালিত এক জরিপেই উঠে এসেছে এ ভয়ানক তথ্য। বুধবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে এ খবর।
জরিপের অংশ হিসেবে ‘বিবিসি রেডিও ফাইভ’ ২ হাজার ৩১ জন নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলে। হলিউড প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর বিশ্বজুড়ে এ ধরনের নির্যাতনের যে গণঅভিযোগ উঠেছে, তার প্রেক্ষিতে এই জরিপ চালানো হয়।
এতে দেখা যায়, ৫৩ ভাগ নারীই বলেছেন তারা কর্মস্থলে কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। আর ২০ শতাংশ পুরুষ বলেছেন তারাও শিকার হয়েছেন যৌন হয়রানির।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ভাষ্যে, অগ্রহণযোগ্য লিঙ্গ-বৈষম্যমূলক মন্তব্য থেকে সরাসরি যৌন আক্রমণ, নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তারা। এক চতুর্থাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, তারা হয়তো অগ্রহণযোগ্য কৌতুকের শিকার হয়েছেন অথবা তাদের হাসতে হাসতে উত্যক্ত করা হয়েছে। আর এক সপ্তামাংশ বলেছেন, তাদের অযথা স্পর্শ করা হয়েছে।
যে নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই ব্যাপারটি কাউকে বলেননি। আর হয়রানির শিকার পুরুষদের মধ্যে ৭৯ শতাংশই ঘটনাটি রেখে দিয়েছেন নিজের মধ্যে।
জরিপ অনুযায়ী, পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি শিকার হয়েছেন তাদের সিনিয়রদের। এক্ষেত্রে পুরুষরা ১২ শতাংশ শিকার হলেও নারী শিকার হয়েছেন ৩০ শতাংশেরও বেশি। আর প্রতি ১০ জনে একজন নারীই এ ধরনের আক্রমণের পর চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
অবশ্য এই জরিপের আগে যৌন হয়রানির শিকার নারীরা ‘মি টু’ শীর্ষক যে হ্যাশট্যাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালু করেছেন, তাতেই বোঝা যায় বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ বৈষম্যভিত্তিক এ নিপীড়নের মাত্রা।
এ বিষয়ে মনোবিদরা বলছেন, সামাজিক সচেতনতাই পারে এ ধরনের ভয়াবহ অবক্ষয় থেকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে রক্ষা করতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এইচএ/