শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আয়োজিত শোভাযাত্রায় একটি প্রতিকী শবাধার বহনকারী রথকে টেনে নেয়া হয় শব দাহ করার স্থানে। এ সময় ড্রাম ও বাঁশিসহ বিভিন্ন বাদ্য পাশাপাশি পাশাপাশি কামানের গোলাও ছোড়া হয়।
দাহ করার স্থানে নেয়ার পর শববাহী রথকে রাজকীয় চিতার চারপাশে বেশ কয়েকবার ঘোরানো হয়।
৫ দিন ব্যাপী শেষকৃত্য আয়োজনের এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে জানা গেছে আন্তর্জাতিক মিডিয়া সূত্রে।
প্রয়াত থাই রাজার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ব্যাংককের বহু ভবন মুড়িয়ে দেয়া হয় গাঁদাফুলে। তবে শেষকৃত্যে সমবেত শোকার্ত জনতার পরনে ছিলো কালো পোশাক।
থাই জনগণের কাছে পরম শ্রদ্ধেয় রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজ গত ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৮৮ বছর।
বুধবার ব্যাংককে অবস্থিত রাজপ্রাসাদ গ্রান্ড প্যালেসে বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৫দিন ব্যাপী এই রাজকীয় শেষকৃত্য আয়োজনের।
শবাধারবাহী রথযাত্রার আগে বৃহস্পতিবারও রাজপ্রাসাদে বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠিত হয়।
শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের শেষে রাজকীয় চিতায় রাজা ভূমিবলের মরদেহ দাহ করা হবে। ভূমিবলের চিতায় অগ্নিসংযোগ করবেন তার পুত্র এবং বর্তমান থাই রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ।
রাজা ভূমিবলের শবদেহকে যে রথ দিয়ে টেনে নেয়া হয় তা অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৪ টন ওজনের এই রথকে শবযাত্রায় টেনে নেন ২ শতাধিক সৈন্য।
থাই রাজা ভূমিবলের এই রাজকীয় শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে কমপক্ষে আড়াই লাখ লোক অংশ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া দেশ বিদেশের বহু পর্যটকও থাইল্যান্ডে এসেছেন এই রাজকীয় শেষকৃত্য আয়োজন দেখতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
আরআই