ওই অঞ্চলে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের এর মাধ্যমে ত্রাণের আওতায় আনা হবে। অভিযানের নামে রোহিঙ্গা নিধন চালিয়ে গত প্রায় দুই মাস ধরে সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার।
ডব্লিউএফপি’র মুখপাত্র বেটিনা ল্যুশার শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাদের সংস্থা রাখাইনে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করার ‘সবুজ সংকেত’ পেয়েছে। বিস্তারিত সমন্বয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা জারি আছে।
তবে ত্রাণ বিতরণ কবে থেকে শুরু হবে কিংবা কীভাবে হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
এর আগে উত্তর রাখাইনে অন্তত এক লাখ ১০ হাজার মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করতো এই সংস্থাটি। এতে যেমন রোহিঙ্গা মুসলিমরা খাবার পেতেন, তেমনি স্থানীয় মগ বৌদ্ধরাও।
এদিকে চলতি বছরের ২৪ আগস্টের পর থেকে অব্যাহত অত্যাচারে এখন পর্যন্ত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সোয়া ছয় লাখের কাছাকাছি বলে জাতিসংঘ জানাচ্ছে। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও লাখ খানেক বেশি। এছাড়া আগে থেকেই চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে থাকেন। এতে মোট রোহিঙ্গা সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট। সে রাতে রাখাইনে পুলিশ ক্যাম্প ও সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে নতুন করে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
আইএ