দেশটির শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয়ক স্থানীয় সচিব ইউ মিন্ত কিয়াং বলেছেন, তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে একটি চেকপয়েন্ট দিয়ে আমরা প্রতিদিন দেড়শ’ রোহিঙ্গার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারি।
উভয় দেশের সরকার এখনও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার জন্য আলোচনা করছে বলেও জানান তিনি।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতী’তে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
দেশটির সরকার বলেছে, মংডুতে পুনর্বাসনের আগে তুয়াংপিয়ো লিতো এবং নাগা খু ইয়া চেকপয়েন্ট দিয়ে তাদের (রোহিঙ্গা) মিয়ানমার ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব।
আর যে চারটি মূলনীতির আওতায় রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেগুলো হলো- মিয়ানমারের নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখাতে হবে, স্বেচ্ছায় পুনর্বাসনে ইচ্ছুক, ক্যাম্পে/শিবিরে জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা-মাকে মিয়ানমারে বসবাসের প্রমাণ থাকতে হবে এবং তারা যে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন এ সংক্রান্ত একটি দলিল বাংলাদেশের কোনো আদালত থেকে নিতে হবে।
এসব শর্তের বাইরেও পুনর্বাসনের জন্য আরো কিছু প্রক্রিয়ার কথা বলেন সচিব ইউ মিন্ত কিয়াং। তিনি বলেন, এর আওতায় ফেরত আসাদের মধ্যে যদি কোনো ‘সন্ত্রাসী’ থাকে তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি নতুন কোনো শর্ত না দিয়ে প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে তাগিদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যদিও পুরনো ওই চুক্তি ধরে অগ্রসর হতে আপত্তি জানিয়ে আসছে ঢাকা।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা নিয়ে ওই সচিব বলেন, সংখ্যা নিয়ে তর্কের কিছু নেই। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তারা (বাংলাদেশ) যে সংখ্যা বলছে, মিয়ানমারের বাসিন্দা হিসেবে যথাযথ প্রমাণ না থাকলে আমরা তাদের গ্রহণ করবো না।
জাতিসংঘ বলছে, গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নে এখন পর্যন্ত সোয়া ছয় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। আর আগে থেকে অবস্থান করায় সব মিলিয়ে বাংলাদেশে মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা দশ লাখ ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
জেডএস