মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানী ব্রাসেলসে এক সংবাদসম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্বাধীনতাকামী, মন্ত্রিসভার সাবেক পাঁচ সদস্য।
কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক নির্বাচন আগামী ২১ ডিসেম্বর, এই নির্বাচনের প্রতি তার সম্মান রয়েছে বলে মত দিয়েছেন কার্লেস পুজদেমন্ত। জানিয়েছেন, ভোটে যে ফলই আসুক মেনে নেবেন।
ইতোমধ্যে স্পেন সরকার বলেছে, কার্লেস পুজদেমন্ত চাইলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কোনো বাধা থাকবে না।
এদিকে সোমবার স্পেনের অ্যাটর্নি জেনারেল হোসে ম্যানুয়েল মাজা কার্লেস পুজদেমন্ত ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনেন। শুধু তাই নয় সরকারি কোষাগারের অর্থের অপব্যবহার এবং বিদ্রোহের অভিযোগও এসেছে তাদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তবে এমন পরিস্থিতি মাথায় নিয়ে দেশে ফিরবেন কবে, কিংবা কতদিন তার সফর এ বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি। কেবল বলেছেন, স্পেন সরকারের ‘নিশ্চয়তায়’ ফিরতে পারেন। যদিও বেলজিয়ামে আশ্রয় চাইবেন বলে তার নামে আগে থেকেই গুঞ্জন ওঠে।
পুজদেমন্ত আরও বলেন, বিচার এড়াতে পালানোর চেষ্টা করছি না। আমি মুক্তভাবে কথা বলতে চাই।
গত শুক্রবার কাতালোনিয়ার পার্লামেন্টে স্বাধীনতার ঘোষণা পাস হয়। এরপর ঘণ্টা না যেতেই স্পেনের সিনেট রাজ্যকে কেন্দ্রের শাসনে আনতে মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়। পরদিন শনিবার কাতালোনিয়া আঞ্চলিক সরকারকে বরখাস্ত করার পর দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় স্পেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে।
অন্যদিকে ব্রেক্সিটের পর আঞ্চলিক জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) আরেক সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে সংস্থাটি মনে করছে। মূলত ইইউ চায় না স্পেন থেকে বেরিয়ে স্বাধীন হোক কাতালোনিয়া।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রসহ সব মহলের বাধা উপেক্ষা করে ১ অক্টোবর গণভোটের আয়োজন করে রাজ্যটি। এতে ৯০ শতাংশ ভোটার নিজস্ব স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
আইএ