বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে উইলিয়ামসনের নিয়োগ নিশ্চিত করেন। আগের দিন বুধবার (১ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন ফ্যালন।
৪১ বছর বয়সী ফ্যালনের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। সেজন্য চিফ হুইপ পদ থেকে এনে এতো গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে দায়িত্ব দেওয়ায় যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক মহলের অনেকেই অবাক হয়েছেন।
তবে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমগুলো উইলিয়ামসনকে বিশ্বাসযোগ্য তরুণ, উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় রাজনীতিক হিসেবেই দেখছে।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের কয়েক ডজন সদস্যের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ডামাডোলের মধ্যে বুধবার পদত্যাগ করেন ফ্যালন। নিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বেশিরভাগই মিথ্যা বলে দাবি করলেও ফ্যালন স্বীকার করেন, তার অতীতের কোনো কাজ সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিনিধিত্ব করার মানের চেয়ে ‘নিম্নতর’ হতে পারে।
ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ) বাস্তবায়নের জটিলতার মধ্যে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ টালমাটাল পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র সরকারকে। তারমধ্যে ফ্যালনের পদত্যাগ মে’কে আরও কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দেয়। আপাতত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিজের আস্থাভাজন উইলিয়ামসনকে এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন মে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
এইচএ/