শনিবার (০৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে শুক্রবার (০২ নভেম্বর) যৌথ এ মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম এশিয়া সফরে জাপান যাচ্ছেন ট্রাম্প।
ধারণা করা হচ্ছে, তার এ সফরে দুই দেশের উত্তেজনা নিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও পারমাণবিক পরীক্ষা এবং এর সূত্র ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের লাগামহীন কথার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
আর শুক্রবার ওই মহড়ায় পিয়ংইয়ংয়ের ‘হাইপার টেনশন’ আরও বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকদের ধারণা, সাম্প্রতিক সময়ে জাপানের ওপর দিয়ে তিন দফা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া ও ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক শক্তিধর দেশে পরিণত হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার শক্তি অর্জনে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। সেদিক দিয়েও বসে নেই যুক্তরাষ্ট্রও।
এর প্রতিক্রিয়ায় কোরীয় উপদ্বীপে মিত্রদের সঙ্গে যৌথ মহড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে দেশটি। সেই ধারাবাহিকতাতেই গুয়ামের অ্যান্ডারসন বিমান ঘাঁটি থেকে কোরীয় উপদ্বীপের উদ্দেশে মার্কিন বোমারু প্লেনের উড়লো শুক্রবার।
গত আগস্টে পিয়ংইয়ং প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা গুয়ামে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দেয়।
বিবৃতিতে মার্কিন নৌবাহিনী জানায়, গুয়ামের সামরিক ঘাঁটি থেকে উড়াল দিয়ে দু’টি মার্কিন বিওয়ান-বি বোমারু বিমান দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বি-ওয়ান বি জঙ্গি বিমানের সঙ্গে যোগ দেয়।
কোরীয় আকাশসীমায় ঢোকার পর মার্কিন বিমান দুটি দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে ‘এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল’ মহড়ায় অংশ নেয় এবং পরে দক্ষিণ কোরিয়া ও পূব চীন সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে মহড়ার পুনরাবৃত্তি করে।
এই সামরিক মহড়া ‘চলমান বোমারুর প্রদর্শন’ এবং ‘কোনো বর্তমান পরিস্থিতির সাড়া’ নয় বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এর আগে গতমাসেও কোরীয় উপদ্বীপে বোমারু বিমান ওড়ায় ওয়াশিংটন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
এমএ/