রোহিঙ্গা সংকট পরিদর্শনে আসা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাইমন হেনশ বলেছেন এ কথা। চার সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২ ও ৩ নভেম্বর) কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের দেখে এসে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন হেনশ।
যুক্তরাষ্ট্রের এ ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারে রাজনৈতিক সমঝোতা দরকার। তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর। এই ক্ষেত্র তৈরি করতে যা করা দরকার, তাদেরই করতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকটের প্রেক্ষাপটে মিয়ানমার ঘুরে বাংলাদেশে আসেন হেনশ’র নেতৃত্বে মার্কিন চার প্রতিনিধি। এতে হেনশ’ ছাড়াও ছিলেন পররাষ্ট্র দফতরের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম ব্যুরো’র ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি স্কট বাসবি, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি টম ভাজদা, পূর্ব-এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক ব্যুরোর অফিস ডিরেক্টর প্যাট্রিসিয়া মাহোনি।
হেনশ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে যে নৃশংসতার খবর মিলেছে, তার তদন্ত করতে হবে এবং যারা এ নৃশংসতায় জড়িত তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
এ ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির বক্তব্যের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিদার নাওয়ার্ট বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে হোয়াইট হাউস গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ওয়াশিংটনের আলোচনার মধ্যে এই বিষয়টি ওপরের দিকে রয়েছে।
২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে এখন পর্যন্ত ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্রও এ বিষয়ে চাপ দিয়ে আসছে মিয়ানমারের ওপর। রোহিঙ্গা সংকট তৈরির দায়ে সম্প্রতি মার্কিন আইনপ্রণেতারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও দাবি তোলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
এইচএ