শনিবার (৪ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন সাদ আল-হারিরি। গত বছরের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
২০০৫ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন সাদের বাবা প্রধানমন্ত্রী রফিক আল-হারিরি। তিনি ছিলেন লেবাননের পাশাপাশি সৌদি আরবেরও নাগরিক। রিয়াদ বলয়ের লেবানিজ রাজনীতিক বাবার মতোই ভাবধারার হিসেবে পরিচিত ৪৭ বছর বয়সী সাদ।
রিয়াদ থেকে প্রচারিত টেলিভিশন ভাষণে লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ রফিক আল-হারিরিকে হত্যাকাণ্ডের আগে যে পরিবেশ ছিল, আমরা এখন তেমনই অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমার জীবনকে টার্গেট করে কী ষড়যন্ত্র চলছে, তা আমি বুঝতে পারছি। ’
মধ্যপ্রাচ্যের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লেবাননে মুসলিম-খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী প্রায় কাছাকাছি। এখানে অধ্যুষিত শিয়াপন্থিদের পাশাপাশি সুন্নিপন্থিরাও রয়েছেন। বাবার মতো দ্বৈত নাগরিকত্বধারী সাদ সুন্নিপন্থি রাজনীতিক। তিনি তার জীবন শঙ্কায় পড়ে যাওয়ার জন্য ইরানের সমর্থনপুষ্ট শিয়াপন্থি সংগঠন হেজবুল্লাহকেও অভিযুক্ত করেন। বলেন, ‘ক্ষমতায় আসতে তারা সবরকমের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ’
সাদ প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্বগ্রহণের আগে দু’বছর রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকটে ছিল লেবানন। ছিল না প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদে কেউ। রাজনৈতিক দল ফিউচার মুভমেন্ট পার্টির নেতা হিসেবে সাদ গত বছর প্রেসিডেন্ট পদে মাইকেল আউনকে সমর্থন দিলে সে পদে নেতৃত্বের অভাব কাটে। এরপর পার্লামেন্ট নির্বাচন হলে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে সাদকে প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্বগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান প্রেসিডেন্ট।
দায়িত্বগ্রহণের পর লেবাননের নতুন যুগের সুচনা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন সাদ। কিন্তু তার এ পদত্যাগের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন হিসাব-নিকেশ শুরু হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
এইচএ