সোমবার (৬ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ’র মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তেহরানের বিরুদ্ধে এই তোপ দাগা হয়। গত শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে রিয়াদের বাদশাহ খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, ইরান-নিয়ন্ত্রিত হুথি সশস্ত্র গোষ্ঠীর এই প্রবল সামরিক আগ্রাসনের কড়া নিন্দা করছে সৌদি সরকার। সৌদি রাষ্ট্র ও তার জনগণকে আক্রমণের উদ্দেশে এই ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়ে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের কাছে পাচার করছে ইরান। এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা ২২১৬ ভঙ্গ করেছে বলেও অভিযোগ করা হয় সৌদির পক্ষ থেকে।
হুথিদের হয়ে ইরানের ভূমিকা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সৌদির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট এটাকে ইরান সরকারের ভয়াবহ সামরিক আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করছে। সেজন্য এটাকে সৌদি আরব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তেহরানের যুদ্ধাচারণ হিসেবে বিবেচনা করার পথ প্রশস্ত হচ্ছে।
বিবৃতিতে ইয়েমেনের সঙ্গে সৌদির স্থল, নৌ ও আকাশপথসহ সবরকমের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে কীভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র ইয়েমেনে ঢোকানো হয়েছে তার তদন্ত শুরুর কথাও বলা হয়।
তবে শুরু থেকেই শিয়াপন্থি রাষ্ট্র হিসেবে ইরান একই সম্প্রদায়ের হুথি বিদ্রোহীদের মদত দিচ্ছে বলে অভিযুক্ত হয়ে এলেও রোববারও ওই রাতের ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
এইচএ/