গত ২ সেপ্টেম্বের ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি প্রাচীন ‘মহল’ এ আলি রাজা মারা যান বলে জানিয়েছে দিল্লির পুলিশ। অযোধ্যার নবাবের উত্তরাধিকার দাবি করার পর ১৯৮৫ সালে ‘মালচা মহল’ নামের প্রাচীন এই ভবনটিকে ওই পরিবারকে বরাদ্দ দিয়েছিলো ভারতের তৎকালীন সরকার।
কয়েক মাস আগে ওই পরিবারের সদস্য আলি রাজার বোন সাকিনাও মারা যান। ৭শ’ বছরের পুরনো ওই ভবনে কোনো দরজা জানালা নেই। এমনকি নেই কোনো বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ। নিভৃতে অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালেই থাকতে পছন্দ করতো পরিবারটি।
৮০ এর দশকের মাঝামাঝি সময় আলি রাজার মা বেগম ওয়ালিয়াত মহল নিজেকে অযোধ্যার শেষ নবাবের উত্তরাধিকার দাবি করে দিল্লির রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জে অবস্থান নিয়েছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলো কন্যা সাকিনা এবং পুত্র আলি রাজা। এ সময় তারা ভারত সরকারের কাছে তাদের পরিবারের থেকে ব্রিটিশ সরকারের ছিনিয়ে সম্পত্তি দাবি করেন।
ভারতের তৎকালীন সরকার তাদের থাকার জন্য দিল্লির চানক্যপুরীর নিকটবর্তী জঙ্গলে অবস্থিত এই সাতশ’ বছরের পুরোনো প্রায় পরিত্যক্ত জঙ্গলাকীর্ণ ‘মালচা মহল’ বরাদ্দ করে। সেই থেকে সেখানেই প্রায় লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে অবস্থান করে আসছিলো পরিবারটি।
আলি রাজার মা বেগম ওয়ালিয়াত মহল ১৯৯৩ সালে আত্মহত্যা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
আরআই