কিন্তু এর ব্যতয় ঘটলো ভারতের দিল্লির বিমানবন্দরে। সেখানে যাত্রীর গলাটিপে ধরে তাকে মারধর করেছেন ইন্ডিগো এয়ারের দুই গ্রাউন্ড স্টাফ।
বুধবার (০৮ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর দিল্লি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হলেও বর্তমানে তা ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
খবরে বলা হয়, চেন্নাই থেকে দিল্লিতে আসা ইন্ডিগো এয়ারের একটি প্লেনের যাত্রী ছিলেন রাজিব কাটিয়াল। প্লেন থেকে নামার পরপরই কোনো কারণে ইন্ডিগোর গ্রাউন্ড কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই যাত্রী।
এরপর তিনি টার্মিনালে যাওয়ার জন্য বাসে উঠতে যান। এ সময় তাকে ইন্ডিগোর দুই কর্মী বাধা দেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। তখন ওই দুই কর্মী রাজিবকে জাপটে ধরে, টার্মাকে (বিমানবন্দরে যান চলাচলের পথ) ফেলে গলা টিপে ধরেন।
স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজিব কাটিয়াল বলেন, প্লেন থেকে নামার পর টার্মিনালে যেতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখন ইন্ডিগোর এক কর্মী আমার সঙ্গে উচ্চস্বরে ও খুবই অভদ্র আচরণ শুরু করেন। তখন কোনো কারণ ছাড়াই আমায় লাঞ্ছিত করেন তারা।
আর ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এই দুইজনকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মন্টু কালরা নামে সংস্থাটির আরেক কর্মী। তিনি যাত্রী মারধরের ভিডিও ধারণ করেন, যা এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল।
ভিডিওটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মন্টুকে বরখাস্ত করেছে ইন্ডিগো এয়ার কর্তৃপক্ষ। তবে যারা যাত্রীকে টেনে-হেঁচড়ে মারধর করেছেন তাদের কোনো শাস্তিই হয়নি।
এ ঘটনার ২২দিন পর ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় শুধু বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেই ক্ষ্যান্ত রয়েছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ।
তবে এ ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের বেসামরিক বিমানমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা। এ নিয়ে তার ইন্ডিগোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল ভাটিয়ার সঙ্গেও কথা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এনডিটিভি বলছে, মারধরের শিকার যাত্রীকে ডেকে ইন্ডিগোর প্রেসিডেন্ট আদিত্য ঘোষ ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ঘটনার জন্যে আমি ক্ষমাপ্রার্থী…। এ ধরনের ঘটনা আমাদের সংস্কৃতিতে প্রভাব পড়বে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এমএ/