গত আগস্টে পরিবারের সঙ্গে ব্যক্তিগত ছুটিতে থাকাকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন প্রীতি প্যাটেল (৪৫)। ওই খবর ফাঁস হওয়ার পরই তার পদত্যাগের জোরালে দাবি ওঠে।
এর আগে সোমবার (০৬ নভেম্বর) ক্ষমা প্রার্থনা করেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এ রাজনীতিবিদ। এ ঘটনায় সরকারি সফরে আফ্রিকা অবস্থান করা দলের পরবর্তী উঠতি এ রাজনীতিককে দেশে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
২০১৬ সালে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগের (ডিএফআইডি) দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী (সেক্রেটারি অব স্টেট) প্রীতি প্যাটেল সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন।
গত সপ্তাহে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রীতি দাবি করেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর বৈঠকগুলোর বিষয়ে জানতো। তবে এসব বৈঠকের বিষয়ে অবগত ছিলো না বলে জানায় পররাষ্ট্র দফতর। ইসরায়েলে নিযুক্ত ব্রিটেনের দূতাবাসকেও এসব বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়নি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত আগস্টে ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে ইসরায়েল যান প্রীতি প্যাটেল। ওই সময় তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে মোট ১২টি বৈঠক করেন। তিনি ইসরায়েলের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও ভিজিট করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯,২০১৭
জেডএস