রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও সম্প্রতি এ সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে চালানো জরিপের একশ’ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি।
অ্যামনেস্টির গবেষণা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আন্না নিয়েস্তাত বলেছেন, ‘রাখাইনে যে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তা স্পষ্ট। রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন তিন মাস আগে নয়, এ সংকট শুরু হয়েছে বহু আগেই’।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের ‘বর্ণবিদ্বেষ’ এবং ‘অমানবিকভাবে’ বিভক্ত করে রেখেছে, বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর মিয়ানমার সফরে যান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। এ সময় তিনি সেনাবাহিনীর অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানান।
নেপিদোতে অনুষ্ঠিত টিলারসনের এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর বা সরকারপ্রধান অং সান সু চিও। তাকে নিয়ে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাখাইনে যা ঘটেছে তার চিত্র একেবারেই ভয়াবহ। যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে মিয়ানমার নেতৃত্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে। ’
টিলারসন এই বৈঠকের পর পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে। মূলত এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হ্লাইংই। তিনিই বরাবর ঔদ্ধত্যের সঙ্গে বলে আসছেন, ‘রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশকারী বাঙালি। তারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়। ’
টিলারসনের এই সফরের আগে রাখাইন রাজ্যের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল মাউং মাউং সোয়েকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে কী কারণে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১,২০১৭
জেডএস