বালির নগুরাহ রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র এরি এহসান বলেন, ২২৪টি পয়েন্ট থেকে বাসিন্দারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এজন্য লমবক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
বালির প্রধান বিমানবন্দর নগুরাহ রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল করায় আনুমানিক ৭ হাজারের মতো দেশি ও আর্ন্তজাতিক যাত্রী বিপাকে পড়েছেন।
গত সপ্তাহ থেকে ‘মাউন্ট অং’ সক্রিয় হলে এর ছাই আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। চলতি সপ্তাহে এটি আরো সক্রিয় হয়ে উঠে। যার ফলে আগ্নেয়গিরিটি থেকে নির্গত ছাই ১৩ হাজার ফুট (৪ হাজার মিটার) পর্যন্ত উপরে উঠে যাচ্ছে। তাই বালির আকাশসীমা ব্যবহারে সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপে আগ্নেগিরিটির চলতি সপ্তাহে এটি দ্বিতীয় বড় অগ্ন্যুৎপাত, যাতে প্লেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
‘রেড ওয়ার্নিং’র বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, আগ্নেয়গিরিটির বর্তমান অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, যেকোনো সময় এর উদগিরন শুরু হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। ঘটনাস্থলের ৬ থেকে সাত কিলোমিটারের মধ্যে থেকে সবাইকে সরে যেতে বলা হয়েছে।
এর আগে অক্টোবরের দিকে আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করে লোকজনকে দ্রুত নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়।
প্রায় ১৮ হাজার প্রত্নতাত্তিক নিদর্শনের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় সক্রিয় ১২৯টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে ‘মাউন্ট অং’ অন্যতম একটি। ১৯৬৩ সালে আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাতে দেড় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এমইউএম/এসএইচ