আগ্নেয়গিরিটি অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠায় স্থানীয় সময় রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৬টার পর সর্বোচ্চ চার নম্বর সর্তকতা (অগ্ন্যুৎপাত সতর্কতা) জারি করে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
এক বিবৃতিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাতের আঁধারে এর আগুনের কুণ্ডলী বেশ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
অ্যাডিলেড ইউনিভার্সিটির ভূতত্ত্ববিদ মার্ক তিনগে বলেছেন, আগ্নেয়গিরিটি অগ্ন্যুৎপাতের পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর জ্বালামুখে লাভা দৃশ্যমান। ঠিক কখন থেকে এর উদগীরণ শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনই সুনির্দিষ্ট কিছু বলা মুশকিল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এটি হবে ভয়াবহ ও ব্যাপক।
ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এরইমধ্যে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলেও জানান তিনগে।
এদিকে ‘মাউন্ট আগুং’ এর অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে। ছাই ১৩ হাজার ফুট পর্যন্ত উঠে যাওয়ায় ঘন ছাইয়ের মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। ছাইয়ের কারণে আশপাশের এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, যানবাহন কালো আস্তরণে ঢেকে যাচ্ছে।
বালির নগুরাহ রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র এরি এহসান বলেন, ২২৪টি পয়েন্ট থেকে বাসিন্দারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এজন্য লমবক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। ফ্লাইট বাতিল করায় আনুমানিক ৭ হাজারের মতো দেশি ও আর্ন্তজাতিক যাত্রী বিপাকে পড়েছেন।
এর আগে অক্টোবরের দিকে আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করে লোকজনকে দ্রুত নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়।
প্রায় ১৮ হাজার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় সক্রিয় ১২৯টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে ‘মাউন্ট আগুং’ অন্যতম একটি। ১৯৬৩ সালে আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাতে দেড় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
জেডএস