ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ারপোর্ট অপারেটর পিটি আঙকাসা পুরা ১ এর যোগাযোগ ও আইনি সহায়তা বিভাগের প্রধান আরি আহসানুররহিম জানান, এয়ারপোর্টের উপরে ধোঁয়ার প্রভাব বিবেচনা করে জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এয়ারপোর্টের আকাশ এখনো আগ্নেয় ছাইয়ে আচ্ছাদিত হয়ে আছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মাউন্ট অ্যাগুঙ থেকে উদগীরিত আগ্নেয় ছাই প্রায় ৩০ হাজার ফুট পর্যন্ত উপরে উঠছিলো। আর দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ৫ থেকে ১০ নট গতিতে বয়ে আসা বাতাসের গতিমুখ ছিলো এয়ারপোর্টের দিকেই।
গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) নতুন করে মাউন্ট অ্যাগুঙ থেকে ধোঁয়া উদগীরণ শুরুর পর থেকেই বালি এয়ারপোর্টে ফ্লাইট ওঠানামা ব্যাহত হতে থাকে। জারি করা হয় রেড এলার্ট। এয়ারলাইন্সগুলো তাদের ফ্লাইট বাতিল করতে থাকে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৭টায় বালি এয়ারপোর্ট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর ফলে ৪৪৫টি ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। সোমবার পর্যন্ত আটকে পড়ে ৫৯ হাজার যাত্রী।
পর্যটন দ্বীপ হিসেবে পরিচিত বালিতে বছরের সব সময়ই পর্য্টকদের ভিড় থাকে। দীর্ঘ দিন ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গি জেগে ওঠার পর সবার মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৬৩ সালে এই আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে ১ হাজার ৬০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
জেডএম/