সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, জ্বালামুখ থেকে প্রায় ৩০ হাজার ফুট পর্যন্ত উঁচুতে উঠছিলো কালো ধোঁয়া ও আগ্নেয় ছাই। চটচটে লাভা নির্গত হতে শুরু করলে পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞরা মাউন্ট অ্যাগুঙ এর এই আচরণের সঙ্গে ১৯৬৩ সালের আচরণের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। সে সময় অগ্ন্যুৎপাতে ১৬০০ মানুষ প্রাণ হারান। নির্গত হয় এক বিলিয়ন মেট্রিক টন ধ্বংসাবশেষ।
আকাশে আগ্নেয় ছাই, বন্ধই থাকছে বালি এয়ারপোর্ট
চলতি দফায়ও ১৯৬৩ সালের মতো ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি বিস্ফোরণ ঘটতে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে।
এমনকি এবারের অগ্ন্যুৎপাত ১৯৬৩ সালের ভয়াবহতাকেও ছাড়িয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই আগ্নেয়গিরির চারিপাশের ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অবিরাম আগ্নেয় ছাই নির্গত হতে থাকায় পুরো দ্বীপজুড়েই শ্বাস কষ্ট ও ফসল হানির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পুরোপুরি লাভার উদগীরণ শুরু হলে বিশাল এলাকায় কাদার প্রবাহ তৈরি হতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই অঞ্চলে বর্ষা মৌসুম কাছিয়ে আসায় কাদা ও ছাইয়ের প্রবাহ আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
জেডএম/