ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আদালতে বিষপান করা যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
আদালতে বিষপান করা যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যু অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী স্লোবোদান প্রালজ্যাক

নেদারল্যান্ডসের হেগে জাতিসংঘ ট্রাইব্যুনালে আপিল শুনানিতে সাজা বহালের রায় শুনে বিষপান করা বসনিয়া যুদ্ধের অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী স্লোবোদান প্রালজ্যাক (৭২) মারা গেছেন। এ ঘটনার পর আদালতকক্ষকেই ‘অপরাধস্থল’ (ক্রাইমসিন) বলে ঘোষণা করেছেন জাতিসংঘ আদালত।

২০ বছরের সাজার বিষয়ে বুধবার (২৯ নভেম্বর) আপিল শুনানির একপর্যায়ে সাবেক এ কমান্ডার উঠে দাঁড়ান এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করেই বোতলে থাকা বিষপান করেন।  

১৯৯২-৯৫ সালে বসনিয়া যুদ্ধের সময় মোস্তার শহরে ধ্বংসযজ্ঞের অভিযোগে ২০১৩ সালে প্রালজ্যাককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার ছিলো আপিল শুনানির চূড়ান্ত পর্যায়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জাতিসংঘ ট্রাইব্যুনালে বসনিয়ার যে ছয়জন ক্রোট সেনা কমান্ডার ও রাজনীতিবীদকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে প্রালজ্যাক তাদেরই একজন।

এর আগে গত সপ্তাহে নব্বইয়ের দশকে বসনিয়া যুদ্ধের সময় গণহত্যা ও অন্যান্য নৃশংসতাসহ যুদ্ধাপরাধের দায়ে তৎকালীন বসনীয়-সার্ব কমান্ডার রাতকো ম্লাদিচকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

‘বসনিয়ার কসাই’ কুখ্যাত এই বসনীয় সার্ব কমান্ডারের বিরুদ্ধে ১১টি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ছিল। এর ১০টিতেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন ম্লাদিচ। তার উচ্চরক্তচাপের অজুহাত দেখিয়ে রায় ঘোষণা স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল সে আবেদন প্রত্যাখ্যান করে রায় ঘোষণা করেন। তবে আইনজীবীরা বলছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুগোশ্লাভিয়া ভেঙে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা স্বাধীনতার ঘোষণা পাস করলে তা প্রত্যাখ্যান করে বসনীয়-সার্ব রাজনৈতিক নেতৃত্ব। তখন সার্বিয়া সরকারের প্রধান স্লোবদান মিলসোভিচের মদদে বসনীয়-সার্ব বাহিনী এবং যুগোশ্লাভ পিপল’স আর্মি বসনিয়ার সার্বিয়ান অংশটি নিজেদের দখলে নিতে আক্রমণ করে।  

এরপর খুব তাড়াতাড়িই পুরো বসনিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জাতীয়তাবাদীরা যুদ্ধে আক্রমণকারী বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হতে থাকে। সেজন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে ‘বড় ট্র্যাজেডি’ বলা হয় এই যুদ্ধকে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।