একটি প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ফোরামের আলোচনায় ম্যাকমাস্টার বলেন, প্রতিদিনই যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে, কিন্তু সশস্ত্র সংঘাতই সমাধান নয়।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ায় ওই প্রতিরক্ষা ফোরামে কথা বলছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই সংকট মোকাবেলার অনেক উপায় আছে। কিন্তু এটা (যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া উত্তেজনা) যেন প্রতিযোগিতা হয়ে উঠেছে, কারণ তিনি (জং-উন) সংঘাতের একেবারে কিনারে চলে এসেছেন, হাতে কিন্তু আর বেশি সময় নেই।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ বন্ধ করতে দেশটির ওপর তেল নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চীনকে তাদেরই ক্রমবর্ধমান স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ তেল ছাড়া কেউ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে পারবে না।
পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের আঞ্চলিক মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিরোধ চলে আসছে। এই উত্তেজনার জেরে কোরীয় উপদ্বীপ ঘেঁষে প্রশান্ত মহাসাগরে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীও পাঠিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদফতর পেন্টাগন।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার কৌণিক দূরত্বে ওড়ানো একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার পর এই উত্তেজনা আরও বেড়েছে। পিয়ংইয়ং তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আয়ত্তে পুরো যুক্তরাষ্ট্র চলে এসেছে বলে হুমকি দিলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরাও দেখছি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
এইচএ/