ভারতের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্যগুলোর একটি গুজরাটে রাজ্যে মোট ১৮২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এ দিন নির্বাচন হচ্ছে ৮৯ টিতে। বাকি ৯৩টি আসনে ভোট হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর।
প্রথম পর্বের এ ভোটে গুজরাটের দক্ষিণ গুজরাট, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ এবং কাঠিয়াবাড় অঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ পর্ব। শেষ হবে বিকেল ৫টায়।
গুজরাটের ভোটকে দেখা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মর্যাদার লড়াই হিসেবে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোর প্রচারণাও চালিয়েছেন তিনি।
এই রাজ্যে গত ২২ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। বিরোধী দলের আসনে কংগ্রেস। এর আগের তিনটি বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীই ছিলেন এ রাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। আবার বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের জন্মভূমিও এই গুজরাট। ফলে বিজেপির কাছে এই নির্বাচন সব অর্থেই সম্মান রক্ষার লড়াই।
শনিবার সকালে টুইট করে সমর্থকদের বিশেষ করে যুবকদের প্রতি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “গুজরাতে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু। আপনারা প্রত্যেকেই ভোট দিন। ”
অন্য দিকে, রাহুল গান্ধীর হাত ধরে বিরোধী কংগ্রেসও এ বার গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। ক্ষত্রিয়-হরিজন-আদিবাসী-মুসলিম, এই পরিচিত ভোটব্যাঙ্ক ছাড়াও কংগ্রেস এ বার হাত বাড়িয়েছে পাতিদার, ওবিসি এবং দলিত ভোটব্যাঙ্কের দিকে।
গুজরাটে পতিদার এবং প্যাটেল ভোট ১৩ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ। মুসলিম ভোট ৯.১ শতাংশের মতো। আদিবাসী বা তফসিলি উপজাতির ভোট প্রায় ১৫ শতাংশ। তফসিলি জাতির ভোট ৭.১ শতাংশ এবং ব্রাহ্মণ ভোট ১০ শতাংশ। জাতপাতের এই সমীকরণ এবার ভোটের বাক্সে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন বিরোধী দলে থাকলেও গুজরাটের গ্রামাঞ্চলে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা এখনও অটুট রয়েছে। ২০১৫-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিসাব বলছে, ২৩টি জেলা পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৯টিতেই কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল। তালুকা পঞ্চায়েত স্তরেও কংগ্রেস অনেক এগিয়ে ছিল বিজেপি-র থেকে। কিন্তু, গুজরাতে বিজেপির মূল সমর্থক শহুরে মধ্যবিত্ত ও ব্যবসায়ী শ্রেণী। সেখানে শহুরে ভোটারও অনেক। তাদের মধ্যে বিজেপি’র দাপটও বেশি। কাজেই এ বারের নির্বাচন কিন্তু এক্কেবারে সেয়ানে সেয়ানেই।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
আরআই