আর ক্ষমতাসীন নেপালী কংগ্রেস ফেডারেল পার্লামেন্টে মাত্র ২৩টি ও প্রভিনশিয়াল অ্যাসেম্বলিতে ৪৫টি আসন পেয়ে ভরাডুবির লজ্জায় ডুবেছে।
এখন চলছে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের হিসাব।
আর এ হিসেবেও যে বাম জোটই এগিয়ে থাকছে তা বলাই বাহুল্য।
গত ২৬ নভেম্বর প্রথম দফায় ও ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় নির্বাচনে। নিয়ম অনুযায়ী ফেডারেল পার্লামেন্টের ২৭৫ আসনের মধ্যে ১৬৫টিতে এবং প্রভিনশিয়াল অ্যাসেম্বলির ৫৫০ আসনের মধ্যে ৩৩০টিতে ভোট হয়। মোট ১ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৩৮ ভোটাদের মধ্যে ১ কোট ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এককভাবে ফেডারেল পার্লামেন্টের ১৬৫ আসনের মধ্যে ইউএমএল ৮০, মাওবাদী কেন্দ্র ৩৬, কংগ্রেস ২৩ ও অন্যন্য দল ২৬ আসন লাভ করে। প্রভিনশিয়াল অ্যাসেম্বলির ৩৩০ আসনের মধ্যে ইউএমএল ১৬৬টি, মাওবাদী কেন্দ্র ৭৩, কংগ্রেস ৪৫টি আসন লাভ করে। অন্যান্য দলের ঝুলিতে যায় আরো ৪৫ আসন।
নিরুঙ্কুশ জয় নিশ্চিত হওয়ার পর বাম জোটের প্রধান দুই নেতা অলি-প্রচন্দ সম্ভাব্য সরকার নিয়ে আলোচনাও সেরে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে নেপালের একাধিক সংবাদ মাধ্যম।
নতুন করে বামদের এই উত্থান ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ এঁকে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, অলি ও প্রচন্দ দুজনেই ভারতের চেয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতেই বেশী আগ্রহী।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
জেডএম/