পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পরিচালিত এই ট্রেন সোমবার সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে তার যাত্রা শুরু করে। লাখো ট্রেন ব্যবহারকারীর স্বপ্নের এই বাহন প্রথম যাত্রায় চলেছে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের বরিবিলি স্টেশন থেকে চার্চগেট পর্যন্ত।
১২ কোচের এই ট্রেন তৈরি হয়েছে চেন্নাইয়ে। খরচ পড়েছে ৫৪ কোটি রুপি। আপাতত চার্চগেট-বরিবিলি রুটে এসি ট্রেনটি দৈনিক ছয় ট্রিপ (যাওয়া-আসা ১২ বার) দিলেও ১ জানুয়ারি থেকে এটি চলবে চার্চগেট থেকে বিরার রুটেও। ব্যবস্থাপনার স্বার্থে কেবল শনি ও রোববার এটি যাত্রা করবে না। এসময় অবশ্য নন-এসি সেবা চালু থাকবে রুট দু’টিতে। প্রতি যাত্রায় প্রায় ৬ হাজার যাত্রী টানতে পারবে এই ট্রেন। মেট্রো রেলের মতোই এই ট্রেনেরও রয়েছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দরজা বন্ধ-খোলার ব্যবস্থা। স্বচ্ছ কাচের জানালা, এলইডি লাইট, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের ‘ইমারজেন্সি টক ব্যাক সিস্টেম’, আধুনিক জিপিএস-ভিত্তিক যাত্রীর তথ্য প্রক্রিয়াসহ থাকছে নানা নিরাপত্তা বিষয়াদি।
রেলওয়ে অধিকারকর্মীরা ট্রেনসেবায় এই নতুন মাত্রাযোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মুম্বাই রেল প্রবাসী সংঘের নেতা কৈলাশ বার্মা বলেন, এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে, ভারতীয় রেলওয়ে যাত্রীদের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। আমরা আশা করি, সঠিক ব্যবস্থাপনায় আরও এগিয়ে যাবে ভারতের রেলওয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
এইচএ/