মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে গুজরাটের গান্ধীনগরে সচিবালয় কমপ্লেক্সের হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে শপথানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিতে প্লেনযোগে দিল্লি থেকে সঙ্গীদের নিয়ে যান নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি শপথানুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ, দলটির ১৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মোদির নয়া মিত্র বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ ও তার ডেপুটি সুশীল কুমার মোদিও। এছাড়াও শপথানুষ্ঠানে অংশ নেন বিজেপি জোটের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাই।
গুজরাটের সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও আগের চেয়ে অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে হয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীনদের। এই অবস্থায় বিরোধী কংগ্রেসকে বিজেপি জোটের ক্ষমতা দেখাতেই মোদি তার জন্মরাজ্যে দলীয় ও মিত্র নেতাদের জড়ো করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত হওয়ার পরই অন্তর্বতী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা রূপানীর নতুন মেয়াদে শপথ নেওয়ার নিশ্চয়তা মেলে। ইঙ্গিত মেলে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে নিতিন প্যাটেলের শপথ নেওয়ার ব্যাপারেও। শেষতক তা-ই হলো। অমিত শাহ’র ঘনিষ্ঠ রূপানী ও প্যাটেল নিয়েছেন প্রধান দুই কর্তা পদে শপথ। তাদের সঙ্গে বিদায়ী মন্ত্রিসভা থেকে ১১ জন ও নতুন ৯ মুখ নিয়ে শপথ পড়ানো হয় ১৯ মন্ত্রীকে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রূপানীর নেতৃত্বে এই মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে। এবার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে কিছুটা আসন খোয়া গেলেও জাতীয় নির্বাচনে যেন তারা তা পুষিয়ে দিতে পারেন নেতৃত্বের ক্যারিশমায়। এ ব্যাপারটি বলা হচ্ছে এ জন্য যে, বিজেপি এবার বিধানসভার আসন হারানো সৌরাষ্ট্র থেকেই মন্ত্রী বানিয়েছে ৭ জনকে। বাকি ৬ জন গুজরাট থেকে, ৪ জন দক্ষিণ গুজরাট এবং দু’জন মধ্য গুজরাট থেকে।
ভোট হারানো অঞ্চলে মন্ত্রী বাড়িয়ে জাতীয় ভোট বাগিয়ে নিতে মোদি-অমিতের এই দূরদর্শী সিদ্ধান্ত কাজে দেবে কি-না, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে শপথানুষ্ঠানে এতো নেতাদের মিলনমেলা বিরোধী কংগ্রেস শিবিরকে বেশ ভাবিয়েই তুলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
এইচএ/