বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
গত তিন বছরে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত।
পণ্য ও সেবার উপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বসানোর পরিকল্পনায় এরই মধ্যে সেখানকার বসবাসকারীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
তারা বলছেন, জীবন যাত্রার ব্যয় এমনিতেই বেশি। ২০১৮ সালের জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে তা বাস্তবায়ন হলে এ ব্যয় আরও বাড়বে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রেওয়াত সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে। এর মধ্যে ভাড়া, প্লট-ফ্ল্যাট কেনা-বেচা, চিকিৎসা, প্লেন টিকিট এবং স্কুলের টিউশন ফি উল্লেখযোগ্য।
পরবর্তী বছরগুলোতে উপসাগরীয় দেশগুলোও তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে এ ধরনের ভ্যাট আরোপ করবে।
তবে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর এ শুল্ক হার ইউরোপের কিছু দেশের চেয়ে কম। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ হার ২০ শতাংশ।
এছাড়া ভ্যাট বাস্তবায়নের আগ মুহূর্তে চলতি বছরের শেষ দিনগুলোতে তুমুল কেনাকাটা শুরু হয়েছে।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন। এ ভ্যাট আরোপে বাংলাদেশি শ্রমিকরাও সমস্যায় পড়বেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এমএ/