টানা কয়েক ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের পর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে হামলাকারী দুই জঙ্গির মৃত্যু ঘটার মধ্য দিয়ে এই শ্বাসরুদ্ধকর জঙ্গি হামলার অবসান ঘটেছে।
তবে নিরাপত্তাবাহিনী ধারণা করছে, হামলাকারীদের মধ্যে হয়তো আরও একজন আছে যে তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এখনো বেঁচে আছে।
পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
শনিবার দিনগত মধ্যরাতে কমপক্ষে দু’জন জঙ্গি কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের লেঠপোরার এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে অতর্কিতে ঢুকে পড়ে গুলি ও গ্রেনেড হামলা চালায়। নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়।
জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভিসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, শনিবার দিনগত রাত ২টা ১০ মিনিটে অন্তত দুই বা তিনজন জঙ্গি কেন্দ্রের সীমানাপ্রাচীরের ভেতর ঢুকে পড়ে অতর্কিতে গুলি ও গ্রেনেড হামলা শুরু করে। তারা কেন্দ্রের মূল ভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। জঙ্গিদের ছোড়া গুলি ও গ্রেনেডে ঘটনাস্থলেই এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। অপর ৩ জওয়ান আহত হন। পরে আহতদের একজন মারা যান।
দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের পর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে হামলাকারী দুই জঙ্গি মারা যায়।
এর মধ্য দিয়ে শনিবার দিনগত মধ্যরাতের এই হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি এখন নিরাপত্তা বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসেও পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর ওপর এরকমই এক অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সে হামলায় নিরাপত্তবাহিনীর ৮জন সদস্য প্রাণ হারান। সেটি ছিল একজন আত্মঘাতী হামলা। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে টানা ১২ ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের পর তিন হামলাকারীর মৃত্যু হয়।
বিরোধপূর্ণ এই রাজ্যটিতে সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গিরা প্রায়শই এ ধরনের হামলা চালায়। বেশিরভাগই হামলাই আত্মঘাতী হামলা।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭ আপডেট১৫৪৫ ঘণ্টা
জেএম