ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ার বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২০
ইন্দোনেশিয়ার বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা। ছবি: সংগৃহীত

মৌসুমি বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তাসহ আশপাশের অঞ্চল। বন্যায় অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার বন্যায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া, বন্যা প্লাবিত অঞ্চল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন হাজারও মানুষ।

এ পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাকার্তার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার যাত্রী।

বুধবার (১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান আগস উইবো বলেন, মৌসুমি বৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৯০টি অঞ্চল। এতে জাকার্তার উপকণ্ঠে অবস্থিত কোতা দিপক শহরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।  

তিনি জানান, বন্যায় বিদ্যুতায়িত হয়ে, ভেসে গিয়ে ও পাহাড় বা ভূমি ধসের বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে অসংখ্য এলাকা। পানিতে ডুবে গেছে অনেক সড়ক। বন্যার হাত থেকে বাঁচতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ।

জাকার্তার গভর্নর আনিস বাসওয়েদান সাংবাদিকদের বলেন, নতুন বছরের শুরুতে গড় বৃষ্টিপাতের তিনগুণ বর্ষণ হয়েছে। সামনের দিনগুলোতেও ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।  

তিনি জানান, বন্যা আক্রান্ত অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়াসহ উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার উদ্ধারকর্মী। এছাড়া, প্লাবিত অঞ্চলগুলোতে পানির পাম্প স্থাপন করা হচ্ছে।

জাকার্তায় এক কোটি মানুষের বাস এবং জাকার্তা মহানগরজুড়ে বাস করেন প্রায় তিন কোটি মানুষ। এপ্রিল মাসে বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এ অঞ্চল।

>> ইন্দোনেশিয়ায় মৌসুমি বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা, নিহত ৯ 

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
এফএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।