শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের প্রতি এ অনুরোধ জানানো হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, যখনই সম্ভব জরুরি ভিত্তিতে আকাশপথে মার্কিন নাগরিকদের ইরাক ত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হলো। তা সম্ভব না হলে, তারা যেন স্থলপথেই ইরাক ত্যাগ করে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন।
সোলেমানি বর্তমান ইরান সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে চলা কুদস ফোর্স সরাসরি দেশটির সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ আলি খামেনির প্রতি অনুগত। তাকে ইরানে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হতো।
সোলেমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় ইরান মার্কিনিদের পাল্টা জবাব দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইরানের সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আমির হাতামি, ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজায়িসহ ইরানের উর্ধ্বতন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা সোলেমানি হত্যার ঘটনায় আমেরিকাকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন>>>
মার্কিন হামলায় ইরানের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহত
আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘তীব্র প্রতিশোধের’ হুমকি খামেনির
‘সোলেমানি হত্যায় আমেরিকার ওপর ভয়াবহ প্রতিশোধ নেওয়া হবে’
সোলেমানি হত্যা আমেরিকার আহাম্মকি, মারাত্মক বিপজ্জনক: ইরান
কাসেম সোলেমানি কে?
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
এইচজে