রোববার (০৫ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানায়।
সংবাদে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনসহ বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা ‘আর নয় যুদ্ধ’ বলে স্লোগান দেন।
এছাড়া বিক্ষোভকারীরা স্লোগানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে আসার দাবি জানান।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়াও দেশটির নিউইয়র্ক, শিকাগো, মিয়ামি, মেমফিস, আটলান্টা, ডালাস, সল্ট লেক, লাস ভেগাস, লস অ্যাঞ্জেলস, সান ফ্রান্সিসকোসহ ৭০টির বেশি শহরে যুদ্ধ বিরোধী এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
নিউইয়র্কে বিক্ষোভকারীরা টাইমস স্কয়ারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় তারা বিভিন্ন যুদ্ধবিরোধী প্লাকার্ডের পাশাপাশি একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পতাকা বহন করে।
অপরদিকে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারী হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরোধী বিভিন্ন প্লাকার্ড প্রদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে স্লোগান দেন।
এদিকে শিকাগোতে ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরোধী স্লোগান দেন। এসময় তারা ‘ইরাকে বোমা হামলা বন্ধ করো’ লেখা প্লাকার্ড বহন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও রাজ্যের শিনশিনেটি শহরে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘ট্রাম্প চায় যুদ্ধ, আমরা চাইনা যুদ্ধ’।
বোস্টন অঙ্গরাজ্যের ম্যাসাচুসেটে বিক্ষোভকারীরা মিছিল বের করেন এবং যুদ্ধের বদলে শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দের দাবিতে স্লোগান দেন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিশেষ কুদস ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানি। এসময় ইরাকের শিয়া সশস্ত্র সংগঠন হাশদ আশ-শাবির উপ-প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ অপর ছয়জন নিহত হন।
কাসেম সোলেমানির হত্যার এ ঘটনায় উভয়দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তার বিভিন্ন ঘাঁটিতে আরও তিন হাজার সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
এবি